নির্বাচিত লেখা

দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম

আল্লাহর রসুল (সা.) মানুষ কেনাবেচার দাসত্ব প্রথাকে নির্মূল করার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই সংগ্রাম কেবল যে কাফেরদের বিরুদ্ধে তা নয়......

ব্রিটিশদের গেলানো রাজনীতি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১

ব্রিটিশরা এমন একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা আমাদেরকে গিলিয়েছে, যেটার মূল কথাই হলো- ভাগ হও। যতক্ষণ ভাগ হওয়া সম্ভব- ভাগ হইতে থাকবা। একটা দেশ ভাগ হয়ে তিনটা দেশ হইবা। একটা দল ভাগ হয়ে চারটা দল হইবা। যত বেশি ভাগাভাগি, তত ভালো গণতন্ত্র!

ব্রিটিশদের গেলানো রাজনীতি


এই রাজনীতিতে যারা নাম লেখায়, কিছুদিন যেতেই তাদের কাছে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়- রাজনীতির পুঁজি হলো জনগণের মধ্যেকার বিভক্তি, বিদ্বেষ ও ঘৃণা। এই ঘৃণা ও বিদ্বেষের উৎস বহুকিছু হতে পারে। হতে পারে তা ধর্ম, হতে পারে তা ভাষা, হতে পারে তা জাতীয়তা। যাই হোক- সেটা লুফে নিতে হবে। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। জনগণের মধ্যকার এই ঘৃণা ও বিদ্বেষের সেন্টিমেন্টকে সুরসুরি দিতে হবে, উসকানি দিতে হবে। দাঙ্গা-ফ্যাসাদ লাগাতে হবে। তার জন্য হিন্দুকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী বানাতে হবে, মুসলমানকে কট্টর চরমপন্থী বানাইতে হবে। এটাই ব্রিটিশ প্রবর্তিত রাজনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম মূলনীতি।

আপনি ব্রিটিশের তৈরি বিভেদ সৃষ্টিকারী ব্যবস্থা চালু রাখবেন, আবার চাইবেন জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকুক- তা হতে পারে না। হয়ত আপনি বা আপনার দল চাইছে জনগণকে ঐক্রবদ্ধ করতে, কিন্তু এই রাজনৈতিক সিস্টেম তো আরও বহু দল তৈরি করে রেখেছে যারা মনেপ্রাণে চাইছে জনগণের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপন করতে। কারণ- জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তারা কস্মিনকালেও ক্ষমতার স্বাদ পাবে না। তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দরকার হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি। আর তার জন্য দরকার হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা। ঘৃণার রাজনীতিই এখন সবখানে চলছে। আপনি একমুখে ঐক্যের গান গাইছেন, অন্যরা দশ মুখে অনৈক্যের বিষবাণী ছড়িয়ে দিচ্ছে কানে কানে। সুতরাং- যে কোনো একটাকে বেছে নিন। হয় শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ঐক্য, অসাম্প্রদায়িকতা বেছে নিন- না হয় ব্রিটিশের তৈরি হানাহানির রাজনীতি বেছে নিন।