হিজবুত তাওহীদের পরিচয়
হিজবুত তাওহীদ (দাপ্তরিক নাম - হেযবুত তওহীদ) একটি অরাজনৈতিক, ধর্মীয় সংস্কারমূলক আন্দোলন। ১৯৯৫ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার করটিয়ায় আন্দোলনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী।
হিজবুত তাওহীদ অর্থ কি?
আরবি হিজবুত/হিযবুত/হেযবুত অর্থ দল। এ অর্থে হিজবুত তাওহীদ/ হেযবুত তওহীদ এর অর্থ হলো - তওহীদের দল বা তওহীদভিত্তিক দল।
হিজবুত তাওহীদের আকিদা
সমগ্র মানবজাতি এক স্রষ্টার সৃষ্টি, একই বাবা-মা আদম হাওয়ার সন্তান হয়েও যুদ্ধ-রক্তপাতে নিমজ্জিত। সরলের উপর ধূর্তের প্রতারণা, দরিদ্রের উপর ধনীর বঞ্চনা, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচারে পূর্ণ হয়ে আছে তাদের জীবন। মুসলমান নামক জাতির অবস্থা আরও ভয়াবহ। তারা নির্বিচারে গণহত্যার শিকার হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ নারী ধর্ষিতা হচ্ছে, একটার পর একটা ভূখণ্ড বোমার আঘাতে ধ্বংস হচ্ছে, আবার নিজেরাও শিয়া-সুন্নি ইত্যাদি ফেরকা-মাজহাব-তরিকায় বিভক্ত হয়ে হানাহানি করে যাচ্ছে। নানা ধরনের কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা বাসা বেঁধেছে। এ পরিস্থিতি থেকে মানুষের মুক্তির পথ দেখাতে হেযবুত তওহীদ আন্দোলনটির সূচনা হয়। বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
হিজবুত তাওহীদের হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম কে?
জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম হেযবুত তওহীদ-এর বর্তমান 'এমাম' বা নেতা। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর ইন্তেকালের পর হেযবুত তওহীদের এমামের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। বিস্তারিত পড়ুন - হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
হিজবুত তাওহীদ কি জঙ্গি সংগঠন?
না। হিজবুত তাওহীদ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, ধর্মীয় সংস্কারমূলক, অহিংস একটি আন্দোলন। এই আন্দোলনটি ধর্মীয় সচেতনতার পাশাপাশি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতিসহ সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে অসংখ্য সভা-সেমিনার, প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের আপামর জনতার কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এই সংগঠনটি জঙ্গিবাদের ব্যাপারে আদর্শিক কৌশলের কথা বারবার তুলে ধরেছে।
উল্লেখ্য, হিযবুত তাহরীর ও হিজবুত তাওহীদ দুটো পৃথক সংগঠন এবং নামের সাথে আংশিক কিছুটা মিল থাকার কারণে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে হিজবুত তাওহীদকে জঙ্গি সংগঠন মনে করে থাকেন।
মন্তব্য করুন এখানে